প্রকাশিত: Wed, Jan 4, 2023 4:12 PM
আপডেট: Fri, Jun 6, 2025 5:13 PM

ঢাবিতে এক্সিকিউটিভ এমবিএ করছেন ট্রান্সজেন্ডার অংকিতা

এ্যানি আক্তার: ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে নাম লেখা জাহিদুল ইসলাম। তবে তিনি নিজের পরিচয় দিলেন অংকিতা নামে। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ব্যবস্থাপনা বিভাগে এক্সিকিউটিভ এমবিএ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। 

অংকিতা বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধার ভিত্তিতে ঢাবিতে এক্সিকিউটিভ এমবিএ করার সুযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে ভর্তিও হয়েছি। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য অংকিতাকে ফরম পূরণ করতে হয়েছিল। অংকিতা জানান, ফরমে জেন্ডারের জায়গায় নারী, পুরুষ ও অন্যান্য বিকল্প ছিল। তিনি অন্যান্য বিকল্পটি বেছে নেন।

গত ২ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন অংকিতা। লিখিত পরীক্ষায় টিকে অংশ নেন মৌখিক পরীক্ষায়। মৌখিক পরীক্ষায়ও তিনি সফল হন। অংকিতা বলেন, মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডের সবাই তার ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। চূড়ান্ত ফলাফলে মেধাতালিকায় ১৮৩তম হন অংকিতা। পরে তিনি ১২ হাজার টাকা ফি দিয়ে ভর্তি হন।

অংকিতা বলেন, এক্সিকিউটিভ এমবিএ করার মোট খরচ দেখে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন। পরে গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তুলে ধরেন নিজের আর্থিক অবস্থার কথা। তখন উপাচার্য নিজ উদ্যোগে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন ফি মওকুফ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এ পদক্ষেপের জন্য উপাচার্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

অংকিতা বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত। এক বছরের বেশি সময় তিনি চাকরি করছেন। কিন্তু তার যে বেতন, তা দিয়ে এক্সিকিউটিভ এমবিএর খরচ চালানো অসম্ভব। তিনি বলেন, টাকার জন্য কারও কাছে হাত পাততে লজ্জা লাগছিল। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় টিকে যাওয়ার পর বেতন থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হই। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন ট্রান্সজেন্ডার অধিকারকর্মী হো চি মিন ইসলাম। তার সাহায্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করি।

ট্রান্সজেন্ডার হো চি মিন ইসলাম বর্তমানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ